আমরা পরিবারের একজনকে হারালাম: মাও. আবুল হাসানাত জালালী

বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পূর্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণ করতে আসা নেত্রকোনার কেন্দুয়া শাখার সদস্য মরহুম মাও. নূরুল আলম ফাহাদের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এ শোক সমবেদনা জানানো হয়।

এসময় সংগঠনের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী বলেন, মরহুম নূরুল আমীন ভাই আমাদের পরিবারেরই একজন সদস্য ছিলেন। অল্পবয়সেই তাঁর এই ইন্তেকালে আমরা গভীর শোকাহত। আল্লাহ তায়ালা যেন তাঁকে ক্ষমা করে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদা দান করেন, তাঁর পরিবারকে সবরে জামীল ইখতিয়ারের তৌফীক দান করেন।

তিনি বলেন, মাওলানা নূরুল আমীন ফাহাদ রহ. সংগঠনের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। চিকিৎসার জন্য তাঁর ইন্ডিয়ায় যাওয়ার পাসপোর্ট, ভিসা সব প্রস্তুত থাকলেও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি সম্মেলনের তারিখের সাথে সাথে তার ইন্ডিয়ায় যাওয়ার তারিখও পিছিয়েছেন। আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছায় তিনি হাজারো ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের সাথেই ময়দানে আল্লাহর রাস্তায় ইন্তেকাল করেছেন। আমরা আশা করি আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করবেন।

উল্লেখ্য, গত ০৬ ডিসেম্বর হাফেজ মাও. নূরুল আমিন ফাহাদ জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমে জুমার নামায আদায় করে যুব মজলিসের ১০ বছর পূর্তি সম্মেলনে যাওয়ার পথে হার্ট এ্যাটাক করেন। পরে যুব মজলিসের স্বেচ্ছা সেবকগণ দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হক ঢাকা মেডিকেলের মর্গে তাকে দেখতে যান। মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল ৩৫ বছর। তিনি স্ত্রী, একছেলে ও একমেয়ে রেখে যান। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ হার্টের রোগে ভুগছিলেন।

দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সংগঠক বিভাগের সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, বাইতুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাও. জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, ঢাকা মহানগরীর সভাপতি মাওলানা রাকীবুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ জাকির হুসাইন প্রমুখ।

মাওলানা মামুনুল হকের অন্যায়ভাবে কারাবন্দীর

Loading..

ফেসবুকে আমরা