দেশের নব্বই পার্সেন্টের বেশি মুসলমান আল্লাহপ্রদত্ত খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে চায়। তাই মানবরচিত তন্ত্র-মন্ত্র বাদ দিয়ে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে বিজয়ের সূচনা করতে হবে। ইসলামী শাসন ব্যতীত প্রকৃত বিজয় অর্জন হবে না।
আজ শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে পুরানা পল্টনস্থ দারুল খেলাফাহ মিলনায়তনে যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন এসব কথা বলেন ।
এ সময় তিনি সংক্ষেপে সুদীর্ঘ ২০০ বছরের ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, আমরা স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে একটি ভূখণ্ড পেলেও ব্রিটিশ সংবিধান, আইন-বিচার, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থায় সামান্য পরিমার্জিত আরেকটি শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়েছি। তিনি আরও বলেন, মাওলানা মামুনুল হকসহ ওলামায়ে কেরামের মুক্তির জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
নগর সভাপতি মাওলানা রাকীবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সংগঠন বিভাগের সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকির পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব মজলিস সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালি। আলোচনা সভায় ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানার দায়িত্বশীল ও কর্মীরা অংশ নেয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আবুল হাসানাত জালালি বলেন, মাওলানা মানুনুল হকসহ কারাবন্দি আলেমদের মুক্তি ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আবারও সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। এ সময় তিনি সরকার কর্তৃক জনগণের অধিকার হরণ ও দেশি-বিদেশী নাগরিকদের নিয়ে অযাচিত বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা রাকীবুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতার অর্থ দাড়িয়েছে কাঁটাতারে অবরুদ্ধ একটি সীমানা, একটি পতাকা। স্বাধীনতা মানে দাঁড়িয়েছে সুষ্ঠু সমাজ বিনির্মাণের কারিগর নিরপরাধ আলেমদের বন্দি করে রাখা, গড ফাদার ও সরকারের পেটুয়া বাহিনী কর্তৃক সাধারণ জনতার অধিকার হরণ। স্বাধীনতার নামে পরাধীনতার এ শৃঙ্খল থেকে দেশকে মুক্ত করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করে রাজপথে নেমে আসতে হবে।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর বাইতুল মাল বিভাগের সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, দফতর বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মজলিসে আমেলা সদস্য, মাওলানা আবুল খায়ের শরিফী, মাওলানা জাকারিয়া আলফারুকি, মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান প্রমূখ।