জনক্ষোভ বিস্ফোরিত হলে সরকার পালানোর পথ পাবে না- যুব মজলিস

মুখে রাজনৈতিক অধিকার প্রদাণের দাবি করলেও সরকার বিরোধী মতের লোকদের সভা-সমাবেশের অধিকার ছিনিয়ে নিচ্ছে, নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে বাধা দিয়ে ক্ষোভ উস্কে দিচ্ছে। জনক্ষোভ বিস্ফোরিত হলে সরকার পালানোর পথ পাবে না। বক্তারা বলেন, রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় কারাগারে বন্দি যুব মজলিস সভাপতি মাওলানা মামুনুল হককে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় সকল বাধা উপেক্ষা করে রাজপথে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তি দিতে বাধ্য করা হবে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সকালে মতিঝিল ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তনে পুলিশি বাধায় ‘নগর সম্মেলন’ করতে না পেরে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন । নগর সভাপতি মাওলানা রাকীবুল ইসলামের সভাপতিত্বে সহসভাপতি মাওলানা জাহিদুজ্জামান ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন যুব মজলিস সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালি। সমাবেশে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানার বিক্ষুব্ধ কর্মীরা অংশ নেয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, আজকের সম্মেলন হলে হওয়ার কথা ছিল, বাধা দিয়ে রাজপথে নামতে বাধ্য করা হয়েছে। সরকার চায় না আন্দোলন হোক, তাহলে কেন বাধা দিয়ে জনগনকে রাজপথে নামতে বাধ্য করে? সরকারকে বলতে চাই, আজ বিরোধী দলের প্রোগ্রামে জনগনের উপস্থিতি দেখতে পাচ্ছেন, এর সাথে তাওহীদি জনতার স্রোত মিলিত হলে মসনদ টিকাতে পারবেন কি না চিন্তা করুন।
প্রধান বক্তা যুব মজলিস সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী বলেন, যুগে যুগে মহান নেতাদের আটকে রেখে হকের আওয়াজকে বন্ধ করা যায়নি; বঙ্গবন্ধুকে আটকে রেখে বাংলাদেশের স্বাধীনতা রুখে দেওয়া যায়নি। মামুনুল হককে আটকে রেখেও জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াইকে রুখে দেওয়া যাবে না, তাঁর জনপ্রিয়তা কমবে না।
বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল আজীজ বলেন, আজ চারিদিকে সবকিছুর শুন্যতা। গ্যাস নাই, বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনগনের নাভিশ্বাস উঠেছে। পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগন সরকারকে লালকার্ড দেখাতে প্রস্তুত হয়ে আছে।  জনগনের মুক্তি হলেই মামুনুল হক মুক্ত হবে। তাই জনমুক্তি আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আব্দুল আজীজ
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা রাকীবুল ইসলাম বলেন, ডিএমপি কমিশনার কিছু দিন পূর্বে বিনা বাধায় সভা-সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়ার কথা বললেও মতিঝিল ঢাকা জেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে আমাদের নগর সম্মেলনের অনুমতি না দিয়ে প্রশাসন তাদের দ্বিমুখী আচরণ জাতির সামনে স্পষ্ট করেছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সকল সেক্টরে ব্যর্থ হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে, চাকরি না পেয়ে ঘরে ঘরে বেকার যুবকের সংখ্যা বাড়ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকারকে ব্যর্থতার দায় নিয়ে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ও বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরীর সহসভাপতি মাওলানা নূর মুহাম্মাদ আজিজি, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল মুমিন, যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মুর্শিদ সিদ্দিকি, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আবুল হুসাইন, মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা রুহুল আমীন, মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আমীন, মাওলানা জাকারিয়া আলফারুকী, মাওলানা আবুল খায়ের, মুহাম্মাদ মিজানুর রহমান, নারায়নগঞ্জ মহানগর সভাপতি মীর আহমদুল্লাহ, ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা জাকির হুসাইন, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ প্রমূখ।

মাওলানা মামুনুল হকের অন্যায়ভাবে কারাবন্দীর

Loading..

ফেসবুকে আমরা