বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের ১০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। ঐতিহাসিক বাইতুল মোকাররম এলাকা আবারো একটি ধীরে ধীরে জেগে উঠতে থাকা রাজনৈতিক শক্তির উত্থান পর্বের বিশেষ এ মুহূর্তের সাক্ষী হতে শুরু করেছে। আমিও চেয়েছিলাম বিশেষ এ দিনের সাক্ষী হতে। কিন্তু এত দূও থেকে যাওয়া সম্ভব হলো না।
আমি আশাবাদী মানুষ। বাংলাদেশের রাজনীতির আকাশে যুব মজলিস একদিন বড় ধরণের প্রভাবক ভূমিকা রাখবে বলে আমার মনে হয়। রাজনীতির দীক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠা এ কাফেলা অনেক দূর যাবে। কারণ, এ দেশের ইসলামী বিপ্লবপ্রিয় তরুণ সমাজ মাওলানা মামুনুল হক সাহেবকে যেভাবে গ্রহণ করে নিয়েছে তা এত কম বয়সে অন্য কারো জন্য সম্ভব হয়নি। আর তিনিও তরুণদেরকে গঠনমূলক রাজনীতির সবক দেন। তিনি নিরন্তর রাজনৈতিক দলসমূহের ঐক্যের পথ খুঁজেন। শুধুই রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার জন্য তিনি কাজ করেন না। তিনি যেখানে দ্বীন ও মিল্লাতের কল্যাণ দেখেন সেখানেই যান। এবং তিনি কর্মবীর, যোগ্য, মেধাবী ও রাজনীতিতে দক্ষ একদল মানুষ গড়ার কাজে সময় ব্যয় করেন।
রাহমানিয়ার দিনগুলোতে যুব মজলিসকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তাদের দিন রাতের প্রচেষ্টা, সারাদিন একাডেমিক পড়ালেখায় হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের পর বিকেলে আবার দ্বীন বিজনের স্বপ্ন নিয়ে জড়ো হওয়া এবং ধারাবাহিক আত্মোন্নয়ন কর্মসূচী আগামী দিনে এ অঙ্গনের নেতৃত্বের ইঙ্গিত বহন করে। যথেষ্ট মেধাবী ও পরিশিলিত চিন্তার মানুষ ইতোমধ্যেই এ কাফেলায় যুক্ত হয়ে গেছে।
কুমিল্লার হযরত মাওলানা আশরাফ আলী সাহেব একদিন মামুন সাহেবের জন্য দোয়া করে ছিলেন, ‘আল্লাহ আপনাকে ১২০ বছর হায়াত দান করুন’। আমিও আজকের এই শুভ দিনে তারুণ্যের এ স্বপ্নকেন্দ্র মানুষটির জন্য একই দোয়া করি। এবং প্রত্যাশা করি, আগামীর বাংলাদেশে তিনি এবং তার গড়ে তোলা দল বড় প্রভাবক হয়ে উঠবে।