বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক বলেছেন, এ ভূখন্ডের মানচিত্র অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। দীর্ঘ শতবছরের সংগ্রাম সাধনার মাধ্যমে যে স্বাধীনতা ও বিজয় অর্জন হয়েছে যুব জনতা ও আলেমসমাজকে তা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আজ (সোমবার) সকালে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগর আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ছিল জালেমের বিরুদ্ধে মজলুমের আন্দোলন। আমাদের পূর্বসূরি ওলামায়ে কেরাম তখন দ্ব্যার্থহীনভাবেই সে ঘোষনা দিয়েছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতে ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, স্বাধীনতায় ভারতের ভূমিকা অনস্বীকার্য কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতের মনিবসুলভ আচরনে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে ভারতের সে সহযোগিতা তার নিজ স্বার্থে ছিল। এজন্যই মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার্সরাই স্বাধীনতার পর ভারতের আগ্রাসী ও দখরদারিত্বমূলক আচরনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। ভারত আজও কাশ্মীরসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজ্যগুলোতে জুলুম চালাচ্ছে। ভারতের এ আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে।
এসময় আলোচকবৃন্দ বর্তমান সরকারের স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী আচরনের বিরুদ্ধে মুক্তিকামী তরুনদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে পল্টন এলাকায় এক বিজয় র্যালি বের হয়।
মহানগর সভাপতি মাওলানা রাকীবুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সহ সভাপতি জাহিদুজ্জামানের পরিচালনায় সভায় আরো আলোচনা করেন, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, মজলিসে খাস সদস্য ক্বারী হুসাইন আহমাদ, কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ বিভাগের সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, ঢাকা মহানগরীর মজলিসে আমেলা সদস্য মাওলানা আব্দুল্লাহ আশরাফ, মাও. শহীদুল ইসলাম, জনাব আবুল কালাম, মাও. মুর্শিদ সিদ্দিকী, মাও. আব্দুল্লাহ হাসান, মাও. হাশমতুল্লাহ ফরিদী, মুহাম্মাদপুর থানা সভাপতি আল আবিদ শাকির, কেরানীগঞ্জ থানা সভাপতি আমীনুদ্দীন, গুলশান জোন সভাপতি আবুল খায়ের, দক্ষিনখান থানা সভাপতি খাইরুল ইসলাম খান জিহাদী, মতিঝিল থানা সভাপতি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাকির হুসাইন, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি কামালুদ্দীন প্রমুখ।